মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম ইরান, বেতাগী॥ বরগুনার বেতাগীতে একটি ব্রিজের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশাবাজার-আমড়াগাছিয়ার সংযোগস্থলে, হোসনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন (বেড়ের ধন) নদীর উপর ১৯৯৫ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ব্রিজের উপর সিমেন্টের তৈরি পাটা ধসে যাওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
হোসনাবাদ ইউনিয়নে বিধ্বস্ত এই ব্রিজটির একদম বিকলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যা চলাচলের একদম অযোগ্য।
সীমাহীন এ দুর্ভোগে পড়েছে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও একটি মাদরাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী।
বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা।
সরেজমিন জানা যায়, ব্রিজের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন মোটরবাইক চলাও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেল পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা।
ব্রিজটির বেহাল দশা প্রায় ৫ বছর যাবত। এক বছর আগে ব্রিজের উপরের পাটা ধসে পড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় স্থানীয় আলহাজ আবদুর রউফ তার নিজ অর্থায়নে কাঠ ক্রয় করে সাময়িকভাবে মেরামত করে দেন। কিন্তু যোগাযোগের তাগিদে প্রতিনিয়ত ব্রিজ দিয়ে মোটরবাইক, রিকশা, ভ্যান, সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারণে এখন কাঠও ভেঙে গেছে।
শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ।
যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘৯০-এর দশকে নির্মিত এই সেতুটিতে মানুষ উঠলে কখনো ডানে কখনো বামে কাঁত হয়।
এভাবে কাঁপতে কাঁপতে সেতুর মাঝ বরাবর এলেও কখনো কখনো নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়ে যায় খালের পানিতে।
অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। মাঝে মধ্যে শুনি টেন্ডার হয়েছে, তবে মেরামত কবে হবে জানা নেই।
হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতোমধ্যে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে; অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার দেয়া হবে।
বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, বেতাগীর এই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
Leave a Reply